ভিডিও

শেরপুরে রুহুল কবির রিজভী উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি

প্রকাশিত: মার্চ ০৪, ২০২৪, ১০:৪৩ রাত
আপডেট: মার্চ ০৪, ২০২৪, ১০:৪৩ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : আসন্ন উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন,  বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এটিই দলীয় সিদ্ধান্ত।

তাই দলের এই সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে যারা নির্বাচনে অংশ নেবে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অতীতের মতোই ওইসব নেতাদের দল থেকে বহিস্কার করা হবে বলেও জানান তিনি। আজ সোমবার (৪ মার্চ) বেলা এগারোটায় বগুড়ার শেরপুরে পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে থাকা দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত বিএনপি নেতা আব্দুল মতীনের পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাতে গিয়ে এসব কথা বলেন বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা।

রুহুল কবির রেজভী উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের মান্দাইল গ্রামস্থ আব্দুল মতীনের বাড়িতে যান। সেইসঙ্গে শোকাহত পরিবারের সদস্যদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে সমবেদনা জানান এবং নিহতের স্ত্রী লাইলী বেগমের হাতে অর্থ তুলে দেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা, জেলা বিএনপি নেতা শহিদুর রহমান শহিদ, শেরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবলু, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু, বিশালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আহম্মেদ, স্থানীয় বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান, জহুরুল ইসলাম, আব্দুল মজিদ প্রমুখ।

এছাড়াও নিহতের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ছেলে মিলন রহমান, মেয়ে মৌসুমী আক্তার, জামাই নাজিমুদ্দিন নাজু উপস্থিত ছিলেন।  পরে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রেজভী নিহত আব্দুল মতীনের কবরে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ দোয়া মোনাজাতে অংশ নেন।

প্রসঙ্গত: গত বছরের ১৪ নভেম্বর শেরপুরে পুলিশ-আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মধ্যে ত্রি-মুখি সংঘর্ষ হয়। পরদিন ১৫ নভেম্বর বিশালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ও একই ইউনিয়নের মান্দাইল গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মতিনসহ স্থানীয় উপজেলা বিএনপির ৬৭ জনের নামে বিস্ফোরণ ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়।

এরপর থেকে গ্রেফতারের ভয়ে ধান ক্ষেতসহ বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে থাকতেন তিনি। এরই একপর্যায়ে ২২নভেম্বর রাতের কোনো একসময় দুর্বত্তরা তাকে পিটিয়ে এবং ধারালো অস্ত্রদিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করে মৃতভেবে ফেলে রেখে যায়। পরদিন ২৩ নভেম্বর ভোরে বাড়ির পাশের ফসলি মাঠ থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান বিএনপি নেতা আব্দুল মতীন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS